দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বিজয়ী প্রার্থীর গেজেট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন জেলার গৌরনদী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সুমন মাহমুদ। একইসাথে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলযোগে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। বুধবার দুপুরে ৬নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ অভিযোগ করেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় তার পোলিং এজেন্টকে জিম্মি করে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী আতিকুর রহমান শামীমের গেজেট বাতিল করে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি আরও জানান, গত ২ জানুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলযোগে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এরপূর্বে গত ১ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তিনি আবেদন করেছেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে উকিল নোটিশ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রেরিত আবেদনের জবাব প্রদানসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে তিনি (সুমন) উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন। সুমন মাহমুদ অভিযোগ করেন, তার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসার, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভোট গণনার সময় তাকে (সুমন) জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। পরবর্তীতে মোট কাস্টিং ভোটের চেয়ে ঘোষিত ফলাফলে বেশি ভোট দেখিয়ে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে তার নির্বাচনী প্রতিক উটপাখি মার্কার ৬৬টি ভোট নষ্ট করে ২৯ ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্ধী টেবিল লাইট মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী আতিকুর রহমান শামিমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একই অভিযোগে সুমন মাহমুদ গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উত্তর বিজয়পুরস্থ নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার কু কু সমর্থকরা জড়ো হয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। উকিল নোটিশের ব্যাপারে বুধবার সকালে গৌরনদীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ও উপজেলা রিটানির্ং অফিসার মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, এখনও তারা কোন উকিল নোটিশ পাননি।
Leave a Reply